• কবিতা সুর্মা


    কবি কবিতা আর কবিতার কাজল-লতা জুড়ে যে আলো-অন্ধকার তার নিজস্ব পুনর্লিখন।


    সম্পাদনায় - উমাপদ কর
  • সাক্ষাৎকার


    এই বিভাগে পাবেন এক বা একাধিক কবির সাক্ষাৎকার। নিয়েছেন আরেক কবি, বা কবিতার মগ্ন পাঠক। বাঁধাগতের বাইরে কিছু কথাবার্তা, যা চিন্তাভাবনার দিগন্তকে ফুটো করে দিতে চায়।


    সম্পাদনায়ঃ মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায় ও তুষ্টি ভট্টাচার্য
  • গল্পনা


    গল্প নয়। গল্পের সংজ্ঞাকে প্রশ্ন করতে চায় এই বিভাগ। প্রতিটি সংখ্যায় আপনারা পাবেন এমন এক পাঠবস্তু, যা প্রচলিতকে থামিয়ে দেয়, এবং নতুনের পথ দেখিয়ে দেয়।


    সম্পাদনায়ঃ অর্ক চট্টোপাধ্যায়
  • হারানো কবিতাগুলো - রমিতের জানালায়


    আমাদের পাঠকরা এই বিভাগটির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বারবার। এক নিবিষ্ট খনকের মতো রমিত দে, বাংলা কবিতার বিস্মৃত ও অবহেলিত মণিমুক্তোগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে আনছেন, ও আমাদের গর্বিত করছেন।


    সম্পাদনায় - রমিত দে
  • কবিতা ভাষান


    ভাষা। সে কি কবিতার অন্তরায়, নাকি সহায়? ভাষান্তর। সে কি হয় কবিতার? কবিতা কি ভেসে যায় এক ভাষা থেকে আরেকে? জানতে হলে এই বিভাগটিতে আসতেই হবে আপনাকে।


    সম্পাদনায় - শৌভিক দে সরকার
  • অন্য ভাষার কবিতা


    আমরা বিশ্বাস করি, একটি ভাষার কবিতা সমৃদ্ধ হয় আরেক ভাষার কবিতায়। আমরা বিশ্বাস করি সৎ ও পরিশ্রমী অনুবাদ পারে আমাদের হীনমন্যতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরটি সম্পর্কে সজাগ করে দিতে।


    সম্পাদনায় - অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
  • এ মাসের কবি


    মাসের ব্যাপারটা অজুহাত মাত্র। তারিখ কোনো বিষয়ই নয় এই বিভাগে। আসলে আমরা আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কবিকে নিজেদের মনোভাব জানাতে চাই। একটা সংখ্যায় আমরা একজনকে একটু সিংহাসনে বসাতে চাই। আশা করি, কেউ কিছু মনে করবেন না।


    সম্পাদনায় - সোনালী চক্রবর্তী
  • পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপ


    সমালোচনা সাহিত্য এখন স্তুতি আর নিন্দার আখড়ায় পর্যবসিত। গোষ্ঠীবদ্ধতার চরমতম রূপ সেখানে চোখে পড়ে। গ্রন্থসমালোচনার এই বিভাগটিতে আমরা একটু সততার আশ্বাস পেতে চাই, পেতে চাই খোলা হাওয়ার আমেজ।


    সম্পাদনায় - সব্যসাচী হাজরা
  • দৃশ্যত


    ছবি আর কবিতার ভেদ কি মুছে ফেলতে চান, পাঠক? কিন্তু কেন? ওরা তো আলাদা হয়েই বেশ আছে। কবি কিছু নিচ্ছেন ক্যানভাস থেকে, শিল্পী কিছু নিচ্ছেন অক্ষরমালা থেকে। চক্ষুকর্ণের এই বিনিময়, আহা, শাশ্বত হোক।


    সম্পাদনায় - অমিত বিশ্বাস
  • ধারাবাহিক উপন্যাস


    বঙ্কিমচন্দ্র


    অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত

Saturday, May 21, 2016

অনুপম বলছি

আজ একজন তরুণ যদি কবিতা লেখেন, তাঁকে সমবয়সী বন্ধু হিসেবে আমার পরামর্শ দিতে ইচ্ছে করে- বাংলা কবিতার ইতিহাসটা আপনাকে জানতেই হবে। এটা পান্ডিত্যের জন্য নয়। যে ক্ষেত্রটায় আপনি কাজ করতে নেমেছেন, তার সার এবং অসারটা আপনাকে বুঝে নিতেই হবে। আপনি অরণ্যে মধু সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন- মৌচাকটা পেলেই হবে, কোথায় বাঘ কোথায় অজগর আর কোথায় হরিণ সে খবরে আপনার দরকার নেই, এই কি মনোভাব? তাহলে আপনি শখের কোবি। কবিতা আপনার সর্বস্ব নয়। কবিতা যেদিন আপনাকে প্রথম কাঁদাবে, আপনি সেদিনই তাকে ছেড়ে চলে যাবেন।
আপনার কবিতায় ভারতচন্দ্র, রামপ্রসাদ, মাইকেল, রবিবাবু, জীবনবাবু, সুনীলবাবু, শক্তিবাবু থেকে আরম্ভ করে আজকের কবিতার সব লক্ষণগুলোর সারাৎসার আমরা পেতে চাইব। আপনি আপনার আঙ্গিক বেছে নিন, অথবা আঙ্গিকই আপনাকে বেছে নিক- কিন্তু বাজার যেন দুটোর কোনোটাকেই নিয়ন্ত্রণ না করে।
আপনার কবিতায় যেমন আবহমান পয়ার আমরা পেতে চাইব, যেমন চাইব অলঙ্কার শাস্ত্রের নিপুণ প্রয়োগ, ঠিক তেমনই হাংরিদের তছনছ করে দেওয়া প্রতিবাদ, এবং শ্রুতিদের উত্তরাধিকার। আপনার কবিতায় ভুসুকুপাদের পাশেই দেখা দেবে রমেন্দ্র কুমার আচার্য চৌধুরীর গুণ, রায়গুণাকরের পাশেই আমরা মিলিয়ে নিতে পারব স্বদেশ সেনের উত্তরাধিকার, গগণ হরকরার পাশেই বিনয় মজুমদার। আপনি ছন্দকে দর্পণ হিসেবে ব্যবহার করবেন, মাথা মিলিয়ে মিলিয়ে দর্পের সামগ্রী হিসেবে নয়। আপনি কবিতার অন্তরঙ্গ আর বহিরঙ্গকে এমন মেলাবেন যে অযোগ্য পাঠক আপনার পোশাক দেখেই ফিরে যাবে, তার অধিকার হবে না আপনার শরীর দেখার, আর আত্মায় উঁকি দিলে তার মৃত্যু অনিবার্য- তারপর সে বেঁচে যদি ওঠে, নতুন দীক্ষায় উঠবে। আপনি যদি আজও স্বদেশ সেনের কবিতা না পড়ে থাকেন, না পড়ে থাকেন রমেন্দ্র কুমার আচার্য চৌধুরী বা বিনয় মজুমদারের শেষ পর্বের কবিতাগুলো... আপনি কবিতা কেন লিখছেন? বরং হাওড়া ব্রিজের মাথায় চড়ে চীৎকার করুন, অনেক বেশি লোক শুনতে পাবে, খবরের কাগজে নাম বেরোবে, আপনি ২৪ ঘন্টার জন্য বিখ্যাত হয়ে যাবেন। 
পৃথিবীর কবিতায় অমর হয়ে আছে ত্রিস্তান জারার ডাডাইজম। আর বাংলা কবিতায় অক্ষয় শিকড় গেড়ে আছে দাদাইজম। বাংলা কবিতায় যে কোনো কীর্তিই দাদার কীর্তি। দাদাপুজো করে এখানে লেখার শুভারম্ভ করতে হয়। যে কোবিদাদা তিরিশ বছর লিখছেন, তিনি দশ বছর লেখা দাদার উপরে যান। যদি দশ বছর লেখা দাদা কোনো সিরিয়াস প্রবন্ধ লেখেন, তিরিশ বছর লেখা দাদা বলবেন, ‘হুঃ! এখনই অ্যাত জ্ঞান দিচ্ছে কেন! কাদের দিচ্ছে বলো তো? আমাদের নাকি? আগে তো কুড়ি বছর লিখুক! আমাদের সামনে ও তো খোকা!’ একবার বলা হয়েছিল আমাদের মন্ত্রীরা নাকি দেহত্যাগ করার আগে চেয়ার ত্যাগ করেন না। বামপন্থী দলগুলোয় তো ষাট বছর বয়স হলে তবে বলা হয় খোকা বড় হয়েছে, আর পঁয়ষট্টি বছরে পৌঁছলে তবে তরুণ নেতার খেতাব মেলে। কবিতার ক্ষেত্রেও পাকা চুলের দাম কিছু কম নয়। একটা কথা এঁরা ভুলে যান- কবিতায় তরুণ রক্তই একমাত্র রক্ত। বয়স একজন কবিকে অভিজ্ঞতা নয়, সাবধানতা দ্যায়। অবিশ্যি কাঠিবাজি, গোষ্ঠীবাজির অভিজ্ঞতা এখানে প্রৌঢ় কবিদের অপরিসীম। অ্যাত ছুরি তাঁরা মেরেছেন আর খেয়েছেন যে, একটা রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটে গেলেও বয়স্ক বাঙালি কোবিরা সহজে মরবেন না।
আমি এই পত্রিকাটির পরিচালক। তবু বলছি, এবার একজন লেখককে ধীরে ধীরে পত্রিকামুক্ত হতে হবে। অন্তত উদ্দেশ্যহীন পত্রিকাগুলো থেকে মুক্ত তো হতেই হবে। সেসব পত্রিকা আজ ফেলে আসা শতাব্দীগুলো থেকে উঁকি দিয়ে দেখবে তাঁকে। সম্পাদকদের এটাই শেষ প্রজন্ম, যাদের আমরা জ্যান্ত দেখতে পাচ্ছি। নাহলে আন্তর্জাল এসে কোনো লাভ হয়নি বুঝতে হবে। এরপর একজন লেখক আত্মপ্রতিষ্ঠ হবেন। নিজের ব্লগের মাধ্যমে। নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। এখন সেই পত্রিকাতেই লেখা উচিত যে পত্রিকার সম্পাদকের সহযোদ্ধা হয়ে লেখকের একটা আনন্দ আছে, যে পত্রিকায় লিখতে পারলে লেখকের একটু গর্ব হয় মনে। নাহলে লেখাটা আর যুদ্ধ থাকে না, খেলাও থাকে না... ধান্দা হয়ে যায়, নাম কামানোর ধান্দা। আমাদের দেশে নাম কিন্তু যশ নয়।
পরিশেষে জানাই, আমাদের পরিকল্পনা ছিল এবার কবি সজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশের। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই কাজ সম্পূর্ণ হল না। আগামী সংখ্যায় আমরা সেটি প্রকাশ করব।

 অনুপম মুখোপাধ্যায়
 পরিচালক বাক্



My Blogger Tricks

মিতুল দত্ত

ক্রস স্টিচ

বালিশ ঘুমন্ত জল বিকেল
আমাকে থামাও কিছু একটা
পড়ে যাওয়া জিঘাংসায় মিশে
প্রেম মোটিফের আলোয় -ঢাকা
খাবারের খুনি গন্ধ ক্যানভাসে গড়িয়ে
যাচ্ছে স্থাবর-জঙ্গম কালো ঘোড়া লাভা
গরদ, গরদ ভেঙে, পুজো ভেঙে
ছুটে যাচ্ছি আমি আমাকে থামাও বিকেল


১০
বিকেল যদিও এল ভোলামন, কাকে খোঁজো
ভবনদীজলে? বিষণ্ণ চালাঘর দাঁড়কাকের
অগম্য ভেলা যেখানে তামাকপাতা,
সেখানে তোমাকে খুঁজি আমি অম্বিকা, অম্বিকা বলে
কারা ওই চলে যাচ্ছে বন্দরের দিকে জবরদস্তির শেষ
দেখে যাব বলে, ব্রিজের ওপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে
দেব তাকে হলুদ গঙ্গায় ধীরস্থির কেউ আসে

রাগের স্বপ্নেও তাকে কচ্ছপের মতো চেনা যায়



My Blogger Tricks

তুষ্টি ভট্টাচার্য্য

ভূমিকম্প সিরিজ

মুহূর্ত

কিছু মুহূর্ত তৈরী হয়
এমন সময়ের কাছে হাত পাতা যায়
নির্দ্বিধায়
ফেরিঘাট দূরে 
তবু দুলুনি নিয়ে আসে সেই পারানি
ভাসায়

আসার কথা ছিল না

অসুস্থতার ছুতো নিয়ে আসার কথা ছিল না
এসেছে বলে কিছু ইতস্তত পা ঘষছে
কয়েকটা বেসামাল মাথা টলছে সাড়ম্বরে  
পাপোশের ওপর শুয়ে থাকা বেড়ালটিও
টের পেয়েছে এই কাঁপুনি 

উপভোগ

ভোগের সামগ্রী নিয়ে তোলপাড় রাস্তা
একসাথে জড়িয়েছে খাদ আর ঢেউ
ক্রিভার্সের কাছে গিয়ে ফিরে দেখা ক্লিভেজ
ধ্বস-ভাবনা থেকে শীঘ্র পতন
আনুমানিক টাকার হিসেবে ক্ষয়

টেকটোনিক প্লেট
 
দূরে সরে যাবে বলে উল্লাস!
কাছাকাছি থাকায় বড় বেশি ক্লেশ!
নড়েচড়ে বসেছে দুপুর
মাটির গন্ধ পাচ্ছে টেকটোনিক প্লেট

আফটার শক

আবার ঘাই মারে বুকে
এক ঝটকায় সামাল সামাল
কত আর গুস্তাগি মেনে নেওয়া যায়
নাচনীতোর অহং সম্বল

ট্রমা

এখনও কাঁপছে
থরথর এখনও মাটি
এত চাপা পড়া দেহ, শহরের লাশ
এখানে কী বাঁশি বাজে আজকাল
রাধার ছলাতছল?
রাস্তায় বড় ধুলো, টের পাও মৃত মাছি?



My Blogger Tricks

শান্তনু বেজ

আবশ্যিক নৌকায় মেঘ আঁকা নাজানা 

নৌকা কতবার ভাসতে ভাসতে  চেয়েছে
নকল মেঘ-ছায়ার ছবি ছুঁতে

সরে সরে গ্যাছে ইচ্ছামতোর কাছে
কাছে আসা থেকে আসামি হয়ে থেকেছে
ডুবে না ডুবে। টলে না টলমলে
তার দাঁড়  বানাতে চেয়ে
                  মাশুল রেখেছে
                      আসন্ন মেঘলার পূর্বাভাসে

আকাশ ছুঁতে ছুঁতে
                    হেরে যাওয়া মেঘগুলো দ্যাখে

আর সেই গেল শ্রাবণবারে

মেঘের ছায়াকে একদিন  ছোঁয়ায়
ফিরে যায় পুরনো আত্মীয়রা

মেঘের ছায়াকে দুদিন  ছোঁয়ায়
বাতিল হয়ে যায় আঞ্চলিক ছুটি গুলো

মেঘের ছায়াকে বারবার ছোঁয়ায়
হারিয়ে যায় একটা করাতের কাজগুলো

মেঘেরা আজও আকাশকে ছোঁয়'নি
ওরা তোমার নৌকাকে কেন নকল ছবি দেবে

তবে তুমি নৌকা থেকে নেমে এসো
চিত্রকর ও মেঘ দুজনেরই ছায়াছবি পাবে


জোছনাবালকের ঘামনাম সত্য হে

মে মাসের ছেলেটি এপ্রিলের হপ্তাখানেক ঘাম নিয়ে ঘরে ফিরছে। পা ঘষে ঘষে ঘষে পলাশ ঝড়া রাস্তায় ঘাম ছিটকে ফেলছে । ঘামের জল শুঁকে নিচ্ছে বন্ধ চা দোকানের এঁটো ভাঁড়। যেমন, ও বাড়িতে ছাদ বাঁধলে, এ বাড়িতে মিস্ত্রির ঘাম ছিটকে আসে। ঘামের চকচক দেখে পেঁচাটি চোখ সরিয়ে রাখে  ইঁদুরের বুক থেকে। ছেলেটি আজ বাজিমাত হচ্ছে চাঁদোয়ার ভুলভাল ছবিতে।  এই যে জোছনায় সাদাকালো পৃথিবী। সেখানে রূপালী দেখছে না ছেলেটি। ওখানে রূপালীকে দেখছে ছেলেটি। ছেলেটি কবেকার শ্রাবণ থেকে একটা বৃষ্টিভেজা জোছনা চেয়ে ঘর ছেড়েছিল। আজ ঘামেভেজা জোছনায় নতুন করে বাড়ি আসছে।  ছেলেটি কুকুরের গায়ে জোছনা দেখে  হাসছে। ছেলেটি বড়ো বাড়িটির গায়ে জোছনা দেখে  রাগছে। ছেলেটি অজস্র লোহার বালাপরা পাগলের একপাশে জোছনা দেখে  কাঁদছে। ছেলেটি বন্ধ হয়ে যাওয়া বাবার ভাঙা দোকানে জোছনা দেখে  হারছে। ছেলেটি চাঁদের গায়ে জোছনা দেখে  চাঁদছে। .... আর অনেক দূরে , তুমি বা আমি বড়ো টেবিল থেকে তিনজনকে হারিয়ে ফেলছি...হারিয়ে ফেলছি...হারিয়ে ফেলছি...



My Blogger Tricks

বিভাস রায়চৌধুরী



কিচ্ছু হতে নেই এ-জীবনে!

জীবন নিজেই কিছু নয়।

ইচ্ছে
  হয়
    তাই
      আসি...

শিখায় শিখায় আমি পোকা খুঁটে খেতে
ভালবাসি




অনেক গাছের নীচে তুমি নেই কোনোদিন

হাওয়া এসে ঘুরে যায়... আশা করে কিছু...
জল ভেঙে চুপচাপ উঠে আসে হাঁস

পৃথিবী বিশ্বাস চায়... একটু বিশ্বাস

কত গাছ অপেক্ষা করছে
একজীবন দুইজীবন
এত বড় শূন্যতায় বেঁচে থাকতে
ভাল্লাগে না কারো...

যেসব গাছের নীচে তুমি নেই কোনোদিন
একাই দাঁড়িয়ে থাকি...
কী একটু বিশ্বাস... আসতেও পারো...
আসতেও পারো...


  


My Blogger Tricks

রানা বসু

১।

বিছানার ওপর থেকে ফোনের সরে যাওয়ার
একটা তুমি-আমি ব্যাপার আছে। সেদিনের মত মাথার যন্ত্রণাগুলো কোনো কোনো সময়
ঠিক পাড়ার কম্পিটিশনগুলোর পরেই আসে। ঠেকে যায়।
কমে যেতে যেতে 'জল' বলে।
বাবারা বেশিরভাগ সময়ই 'হাঁড়ি ভাঙা' খেলতে এসে কাছাকাছি গিয়ে পড়ে আর ভাই'রা কারও মাথা লক্ষ্য করে লাঠি তুলে ধরে।
তোমার মত কেউ কেউ 'মিউজিক্যাল বল' এ সেকেন্ড বা থার্ড হয়।

রুটি আর ফুলকপির ডিনারে নিমন্ত্রণ করলে
সরু সরু লক্ষ্যগুলোর বিচ্যুতি ঘটে।
এখানে রুমাল আছে ফোন ব্যালান্সও
শুধু দুই আর দুই মিলে চার হলে
কি আমি বলতে পারি
দুই আর চারেও দুই হয়!!

২।

বিশ্বাসঘাতকের একটা বর্ণপরিচয় থাকে
আগে পরে যার সর্ষে বা পুঁইমাচা
অথবা একটু বাঁদিক ঘেঁষে শোয়
আমি কি কখনও তার ডাকনাম হতে পারি

আসন্ন চিঠি প্রাপ্ত হতে হলে
নিয়ামক বা নিরূপক রাশি
থাকতে হবে একটা
মায়া যাকে অমায়িক বলে ধরে নিয়েছিল
আরে, এই চুপ্, চুপ্
নয়, আট, সাত.....তিন দুই
নাউ



My Blogger Tricks

বিশ্বরূপ দে সরকার

মল্লিকা .com

যখন মল্লিকার সমস্ত চৌষট্টি আমি আলতো করেছি
যখন ক্যামেরার অনুরোধ ডালিম ফোঁটায়
আর অনুরণন মানে চুড়ান্ত দেবদারু
যখন ফর্সা হাসি একটা কোমর ছাড়া কিছু নয়
কিছু একটা নয় ১৪৪ সিলিকনের ওপর মাধুরী ছোট্ট একটা ড্রপ
নতুন শতাব্দীর কুঁচকে যাওয়া দশ ইঞ্চি
আমাদের পশম অবধি নিয়ে যায়
যেন খুঁজতে থাকে মনোবীণামনোভাবমন  মেঘের ওপর


জার্নি
আর আমি আদরের জামফল একবার বোধ করি।
বুঝতে পারিনা কাকলির জলবায়ু।
যেখানে নিখুঁত পাজামা ব্যাথার ঠুংরিগুলি
মাংসের গান হয়।
আমার মনে পড়ে কুসুম ঊরুর ছাদ।
শ্বাস প্রশ্বাসের কার্নিশে আত্মীয়তা শিখি।
আমি কেউ নইকম্পনরত চাপ তখন ভীতু ও গরম।
চিরুনী কামনাদেবী আর লাল টিপ বালির ওপর


তুখোড় প্রেমিক তবু ঈষৎ আলসেমি।

My Blogger Tricks

দেবী। চান্দ্রেয়ী

          আমায় যে কোনো একটা বইয়ের রিভিউ করতে বলা হয়েছিলো। তা কোন  বইয়ের রিভিউ করবো এই ভেবে যে বইটা সেই সময় পড়ছিলাম সেটারই রিভিউ  করতে বসে পড়লাম। আমি আগে কখনো কোনো বইয়ের আক্ষরিক রিভিউ করিনি। বইটা আগে থেকেই পড়ছিলাম। রিভিউ করার জন্য নতুন করে পড়তে শুরু করা মাত্র মনে হলো রিভিউ কী? কাকে বলে? এই সব। তারপর যতো এগোলাম প্রতিটা পাতা আমায় যা কিছু দিলো লিখে ফেললাম। জানিনা এটা কতোটা রিভিউ হলো। তবে আমার মনে হওয়া হলো বটে।
   ‘হুডিনির তাঁবু’ থেকে প্রকাশিত বইটির কোনো নাম নেই। বইয়ের মলাটে একটা গাছ, একটা চেয়ার, কিছু পাহাড়, লাল সূর্য আর দুটো নাম ‘দেবী। চান্দ্রেয়ী।’
এরপর আমার মনে হওয়া       
                 
                      ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা
হলদে মলাট যেন সবজে গাছের মতো, কালো কালো ডালে কাক বসে, চিল থাকে, খোলসে খোলসে ভরে ওঠে চেয়ার

একটা শূন্য চেয়ার গাছের ছায়ায় বাড়ে, হাতল দুটো যেন এই ডানা হয়ে গেলো,পাহাড়ের মাঝে ভেসে থাকে লাল টুক টুক ওই।

লাল টুকটুকের ডাকনাম সূর্য দিয়েছিলো মেয়েটি, তার আলুথালু চুল,চুলের ফাঁক নেই কোনো। সমস্ত জটারা দেওয়াল তুলে দিয়েছে চুলের ভেতর।

সবজে পাতা যে ধূ ধূ মাঠে মলাট পড়িয়ে গেলো, এই মাত্র একটা একা চেয়ার এসে বাসা বেঁধেছে। তাঁবুর ভেতর থেকে এই বুঝি উঁকি মারবে জোনাকি।

‘যা কিছু একার, যা কিছু একের, ভেবে নিই সেই সব কিছুই দুজনকে নিয়ে দুজনের জন্য’
                একটা অনুভব সূর্যের মতো লাল, একটা অনুভুতি যেখানে বসত করে দুইটি ভিন্ন শরীর, শরীরের ভিন্নতায় তাদের রকমফের ঘটলো, নানা খাঁজ, নানা উঁচু নীচু এক হয়ে গেলো একটি বিন্দু ঘেঁষে,আমি দেখতে পাই সেই একার  চেয়ার। শুন্যতা মেখে ফুলে গেছে ওর সমস্ত বুক, স্তন হয়ে ঝরে পরছে সমস্ত মাঠে।
                     ‘কাটাকুটি খেলায় কোনো হারজিত নেই’
যেই মুহূর্তে তোমার বোঝা হয়ে গেলো ‘কাটাকুটি খেলায় কোনো হারজিত নেই’  আসলে আমরা যা কিছু খেলি তার সবটাই কাটাকুটি, ফারাক কেবল লেন্স এর, তোমার আমার মাঝে যে সাঁকো থাকে তার নাম ভিউ, এই ভিউ গা ঘেঁষে হেঁটে  চলে বেড়ায় সমস্ত একার ভিড়ে, যেখানে সুন্দর কে দেখলে তুমি ভাগ করে নাও নিজের  সাথে, বিয়োগে বিয়োগে যেভাবে যোগ ভরে ওঠে, এক রাশ ভারীতে পূর্ণ  হয়ে যায় যুবতীর সমস্ত যৌবন, আর ওই যে ঝরণা যার পুরোনো জলের ধারায়  নিত্য নতুন তৃষ্ণারা জন্মে জন্মে ওঠে, কখনো মরে যায় প্রাচীন ক্যাক্টাসে, কখনো সম্পুটে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রাচীন মানুষের পৈতে হয়ে ঝোলে।   
            নব নব জল গড়ে পড়বে বলে যখন সমস্তরা অভিমান গোনে, তখনি তার পুরোনো হাতে কি প্রবল এক ভাসমান সমুদ্র গান হয়ে যায়। ঢেঁড়া ঢেঁড়া সূরে  হাহাকার জুড়ায় সবুজ খামের মাঠ, সুন্দরী ঝরণা ততোদিনে শিশুতে পা রাখে,  শিশুর মতো লম্ফ ঝম্পে পৌঁছে যায় মানুষের কোলে, যেখানে dear M, dear W তারা অবাধ হয়ে থাকে, যেখানে নব ধারা ফুটিয়ে তোলে চিরতনীর মুখ।
                         Silence Must Be Heard
দুটো প্রাচীর, নানা ওটা ঘর বন্দী দেওয়াল, তবে ওইযে ফাটল? কে বললো ওকে ফাটল? ও যে নিঃশব্দের মুখ, শূন্যতার নিরাকার প্রাচীর
   ‘A bodhisattva who treats even that (insight)  as an object of perception, will there by part from this perception of wisdom (prajna), and get far away from it
যার মাঝে একটা অ এর মতো ঠোঁট থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর নীল ঘেঁষা কিছু  পাখি পার করছে ইধার উধার। কোনো তীব্র বেশধারী শূন্য গোলাপ যেভাবে পাতা  শুকিয়ে রাখে নিজেদের ভেতর ঠিক তারই অমাবস্যা ঘটলে আমরা একটা নতুন  জেনে যাই।
                             স্বপনচারিনী থেকে,
স্বপ্ন আসলে একটা ঘুম, যখন ঘুমের ভেতর সকাল হয়, সত্যি সত্যি বলে কাঁসর ঘন্টা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তাদের দল, তারা যারা স্বপ্নের মতো সত্যি দেখে, সত্যির মতো একটা সমস্ত স্বপ্ন কে ঘর করে তোলে, বিছানা পাতে, জীবন নামের বেড কাভারে মুড়ি দিয়ে শীত নেভায়, বাসে উঠে ধড়াস ধড়াস চিৎকার করে, তার একা থাকে কই? তাদের একা আসলে মেলা হয়ে যায়, বয়সের ভার ঝুড়ির মতো হাটে বিক্রী করে, অভিজ্ঞতার সালোয়ার জড়ায়। দেখো নিচে ট্রাফিক জ্যাম, এক দুই  করে জাল হয়ে উঠছো। 

     ঘর, ঘরের ভেতর ঘর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান, এই মাত্র চিঠি পেলাম, চিঠি ভেসে এলো হাওয়ার সাথে। আচ্ছা দরজা জানালা রোদ ঝড় সবাই কি পূর্বে না হয় পশ্চিমে থাকে? জানালারও তো কখনো জানালা হয়, রোদের ভেতর রোদ ঢুকে যায়
                লাল নীলের মতো চাল ডাল খেলা করে অনুষ্ঠানে আর ওই চিঠির হদিশ ওর ডাকবাক্স মিললে নিশ্চই ও কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলো?

একটা কবরের ভেতর উলঙ্গ শরীর, শরীর যখন লাজুক লতার পা, নাকি দুইটি কবর? ঠিক দুইটি মাত্র কবরে একটা মৃতদেহ, একটা কেদারা যেখানে আরাম দোলে, যদি মৃতদেহরা দুইভাগ হয়ে যায়, ‘ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা’ আর কটা, না কয়েক হাজার, না কয়েক সংখ্যক মৃতদেহ এসে জোড়া দেয় তাদের সাথে, দুইখানি কবর আষ্টেপিষ্টে তাদের আকাশ বাতাস পাহাড় লাল টিপের মতো আচরণ করে আর ওই চারাগাছ খানি জবাব নেই জবাব নেই বলে দুটি বহুতল যোগ করে দেয় তবে,
          ‘আমি নিশ্চয় করে বলতে পারিনা যে আমি নিশয় জানি যৌথতা একটি               কাল্পনিক ব্যাপার’
                    দুটো পা সবুজ রঙের আলতার খোজে উঁকি ঝুঁকি মারছে
                               মাটিতে পড়ে আছে কালকের বাসি
                                   বিছানায় পড়ে আছে ঘুমন্ত
                                আসলে আমি কালবৈশাখী দেখি,
                               ভেবে দেখি অবলম্বন যেভাবে ঘাস  
                              হয়ে যায় আমি সে ভাবে বই বইয়ে
                              মাঠ খুঁজি, মাঠে চেয়ার বসাই,ছেলে                                                
                              মেয়ে,এক করি, তারপর মধ্যরাত্তিরে   
                                   গুটিসুটি মেরে ভিজে যাই                                                                                                   
                              ওই কাগজ ঘরে, লিখে যাই আর
                                            লিখে যাই
 
প্রথমেই বলেছি জানিনা এটা কতটা রিভিউ। একটা বইয়ের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জরিয়ে পরলে, বইটাকে গায়ে মেখে নিলে যা হয় আমারও তাই হলো। বাকিটার আর কিছু বাকি পড়ে থাকলো কিনা জানা নেই। বইটি সম্বন্ধীয় তথ্য নীচে দেওয়া থাকলো।

A work of Chandreyee Dey & Debdutta Ganguly
Page designed by Somtitha Nandi
Published by Houdinir Tnabu, February 2016



My Blogger Tricks

প্রশান্ত গুহমজুমদার

বীজ

ভিতরে কোলাহল এবং সুদর্শন
ভোর দেখিবারে পারে পাখি
ওড়ে বাতাস
মেঘ ভাঙে
ফোঁটা ফোঁটা বীজ তন্তুর খোঁজে

অপেক্ষায় জল

না-গল্পের মন্ডে আজ এমন ইচ্ছা করে

আর ক্রমশ ঘন হয়ে আসে অন্য ভূমির ছবি




প্রসাধন

স্নানের ভিতরে ছায়া প্রকৃতই
ডানা
কিছুটা দুঃখ কষ্ট?
তা-ও আছে
রৌদ্রে রেখেছে তবে কে!
ঐ আলো?
কীট?
প্রসাধনে জমেছে তুমুল।
রাত্রিও।
সাইকেলে সাইক্লিক
কিছু বা আর্ত
ভোর হল।

ভোরের দিকেই
তবু বোঝা গেল
চামচ যথার্থ প্রতিরোধশূন্য হয়েছে।



খেলা

কোথাও কিছু নেই
তবু এ খেলা
দেখি খোলা
যেন কিছুই হয় নি
যেন বা হচ্ছে না
হবে না কখনো
উড়ন্ত চাকি থেকে জল
আবার স্নান
নিচু হই
যথা আগত
শুনতে পাচ্ছো?
না শুনলেই বা কি!
সেই তো গোল।
করপুটে খেলা করে অনঙ্গ

ভাবি, এই হল বেশ



My Blogger Tricks

শুভ আঢ্য

বারো হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ১


গাছকে বিয়ে করার পর
তার সাথে বিয়ে দিল গ্রামের লোক
একটা কুলীনের

স্খালন করে পাপ বাড়াচ্ছে নিজেই

চন্দনের ফোঁটা যখন মাঘের শীতে আরও জাঁকিয়ে
বসছে কপালে, তখন হাসিমুখ মিনসে
গোছাচ্ছে বরপণ

হিসাবমতো সেই ঝুটো বেনারসী
পরশু দেখা যাবে

চণ্ডীমণ্ডপে

কালরাত্রির পর
শাড়ি খুব সুখে ঝুলে আছে এখন

জোড় ছাড়ানো

বারো হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ২ 


পাশা খেলা ছেড়ে ভাগ হচ্ছে দল
এখানে দ্রৌপদী জমানা

অউর চাবি খো গ্যায়া

দল থেকে দিয়ে যাচ্ছে মুড়ি
ক্লাবের বস্ত্র বিতরণ

একটা গোটা সংসার পাবলিক
রেসপন্সের ওপর টিকে আছে বলে...

মোটা কাপড়
পাড় কেটে বানানো আসনে

পৌরহিত্য হচ্ছে

নতুন শাড়ির জমিন



বারো হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ৩


শিকারীর পর চেনাজানা ফাঁদ
বাঘের খেলায় হাঁপাচ্ছে রিংমাস্টার

চৈতন্য আসার সময়
জলের কুঁজো, ভেঙে যাওয়া কানা

পিপাসা

সেখানে প্রেম প্রেম রোগগ্রস্ত আধার
আরও সমাহিত রূপ

ডুরে পরার পর
একটা আধমোছা টিপ

তাক করে আছে শিকারীকে

স্থির চোখ বাঘিনী, ঘটনাবহুল

যেন আদমখোর হবার আগে আগে
দেশলাই জ্বালানো হচ্ছে জঙ্গলময়





My Blogger Tricks

শবরী শর্মারায়

চারসত্যি

বুকের ভেতর একটা চেয়ার আছে
কাঠের
তুমি বসলে
সিংহাসন মনে হয়

বৃদ্ধ মাষ্টার মশাই
ছানি পরা চোখ
মনে হয় শিশুর টিফিনবক্স
যার টিফিন পড়ে গেছে

স্বপ্ন বলছে বাস্তব মিথ্যা
বাস্তব বলছে স্বপ্ন
মিথ্যা পা দোলাচ্ছে
মায়া মাসির কোলে।

শুকনো একটা গাছ
বিশাল এক মাঠের মাঝখানে
অট্টহাসির মত ...

বাড়ি (১)

বাড়িটা গম্ভীর, দূর থেকে দেখি
গেটের ভেতর বাঁধা একটা গ্রে হাউন্ড
গভীর রাতে ভায়োলিন হয়ে যায় বাড়িটা
রাস্তার পাকুড় গাছের ছায়া আর চাঁদের আলোয়, মনে হয়
শীতের আলোয়ান জড়ানো, একা...ঠাকুর্দা

বাড়ি (২)

ছোটোখাটো হাসিখুশী
এলোমেলো অযত্নে বেড়ে ওঠা কিছু গাছ
ভাদালি, কুলেখেড়া, থানকুনি যে যার মতন
পাহারাদার ভুলু
পুজোর প্রসাদ পায় চেটে, টুকরো মাংসও
এই বাড়ি বাবার মতন

বাড়ি (৩)

বাড়িটা দেখি নিইচ্ছে হলে আঁকতে পারি তবু।
দোলনা এঁকে ঝুলিয়ে দিই বারান্দায়, ধান ছড়াই 
উঠোনে
উড়ে আসে শালিখ চড়াই। কিছু চড়াই ঝগড়ুটে খুব ...কথকীও
ধুলোর ভেতর ডানা মেলে স্নান হয়
একটি অন্ধ কুকুর খুঁজতে থাকে সারা বাড়ি।
কাকে খোঁজে!
আমি অপেক্ষা আঁকতে পারি না...



My Blogger Tricks