Saturday, May 21, 2016
আবশ্যিক নৌকায় মেঘ আঁকা নাজানা
নৌকা কতবার ভাসতে ভাসতে চেয়েছে
নকল মেঘ-ছায়ার ছবি ছুঁতে
সরে সরে গ্যাছে ইচ্ছামতোর কাছে
কাছে আসা থেকে আসামি হয়ে থেকেছে
ডুবে না ডুবে। টলে না টলমলে
তার দাঁড় বানাতে চেয়ে
মাশুল রেখেছে
আসন্ন মেঘলার পূর্বাভাসে
আকাশ ছুঁতে ছুঁতে
হেরে যাওয়া
মেঘগুলো দ্যাখে
আর সেই গেল শ্রাবণবারে
মেঘের ছায়াকে একদিন ছোঁয়ায়
ফিরে যায় পুরনো আত্মীয়রা
মেঘের ছায়াকে দুদিন ছোঁয়ায়
বাতিল হয়ে যায় আঞ্চলিক ছুটি গুলো
মেঘের ছায়াকে বারবার ছোঁয়ায়
হারিয়ে যায় একটা করাতের কাজগুলো
মেঘেরা আজও আকাশকে ছোঁয়'নি
ওরা তোমার নৌকাকে কেন নকল ছবি দেবে
তবে তুমি নৌকা থেকে নেমে এসো
চিত্রকর ও মেঘ দুজনেরই ছায়াছবি পাবে
জোছনাবালকের ঘামনাম সত্য হে
মে মাসের ছেলেটি
এপ্রিলের হপ্তাখানেক ঘাম নিয়ে ঘরে ফিরছে। পা ঘষে ঘষে ঘষে পলাশ ঝড়া রাস্তায় ঘাম ছিটকে
ফেলছে । ঘামের জল শুঁকে নিচ্ছে বন্ধ চা দোকানের এঁটো ভাঁড়। যেমন, ও বাড়িতে ছাদ বাঁধলে,
এ বাড়িতে মিস্ত্রির ঘাম ছিটকে আসে। ঘামের চকচক দেখে পেঁচাটি চোখ সরিয়ে রাখে ইঁদুরের বুক থেকে। ছেলেটি আজ বাজিমাত হচ্ছে চাঁদোয়ার
ভুলভাল ছবিতে। এই যে জোছনায় সাদাকালো পৃথিবী।
সেখানে রূপালী দেখছে না ছেলেটি। ওখানে রূপালীকে দেখছে ছেলেটি। ছেলেটি কবেকার শ্রাবণ
থেকে একটা বৃষ্টিভেজা জোছনা চেয়ে ঘর ছেড়েছিল। আজ ঘামেভেজা জোছনায় নতুন করে বাড়ি আসছে। ছেলেটি কুকুরের গায়ে জোছনা দেখে হাসছে। ছেলেটি বড়ো বাড়িটির গায়ে জোছনা দেখে রাগছে। ছেলেটি অজস্র লোহার বালাপরা পাগলের একপাশে
জোছনা দেখে কাঁদছে। ছেলেটি বন্ধ হয়ে যাওয়া
বাবার ভাঙা দোকানে জোছনা দেখে হারছে। ছেলেটি
চাঁদের গায়ে জোছনা দেখে চাঁদছে। .... আর অনেক
দূরে , তুমি বা আমি বড়ো টেবিল থেকে তিনজনকে হারিয়ে ফেলছি...হারিয়ে ফেলছি...হারিয়ে ফেলছি...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অনন্য! খাঁটি কবিতা।
ReplyDeleteপ্রথম কবিতাটি বেশি ছুঁল দ্বিতীয় কবিতার তুলনায়
ReplyDelete