Saturday, May 21, 2016
বীর দরজা খোলেন দেওয়াল কাঁপিয়ে। বীর ঢেকুর তোলেন সবাই কে জানিয়ে। আর অবশ্যই নপুংসক কে দেখতে পেলে খিস্তি বর্ষণ করেন।নপুংসক কষ্ট পায়। নপুংসক প্রত্যত্তুর দিতে জানে না। চোখে জল আসে তার । সে গ্লাস ধোয়। পানীয় সাজায়। বীরের যত্ন আত্তির ব্যাবস্থা করে।খুব ভয়ে ভয়ে টাকা চায়।বীর গালাগালি দেয়। পানীয় পছন্দ না হলে পাছায় লাথি মারে। আর পছন্দ হলে, কিছু টাকা ছুঁড়ে দেয়।
বীর ফোন করেন। ওপার থেকে কেউ সন্মতি দেয়। কেউ আসবে বুঝতে পারা যায়। নপুংসকের বিষণ্ণ দুনিয়ায় কিছু সুবাতাস বয়ে যায়। সেবুঝতে পারে কেউ আসছে।
বেল বাজলো। নপুংসক দরজার কাছে যাবার আগেই বীর দরজা খোলে। শীতের নরম রোদের মতন এক মেয়ে। সে নাম জানায় তার নাম
“শ্রীমতী”।
বীর প্রস্তুত। শ্রীমতী প্রস্তুত নয়।সে জানায় তাকে ফিরতে হবে। সে এখনো অনেক কিছু জানতে চায়। তার কাজল কালো চোখের মায়ার দিকেতাকিয়ে নপুংসকের ছোট বেলার কথা মনে হয়। তার সাথে কথা বলতে সাধ হয়। মন জ্যানো কেমন করে। বীর ধৈর্য হারায়। বীর উৎসাহিত ।নপুংসকের সামনে বীর সম্ভোগ করে। নপুংসক কষ্ট পায়। সারা ঘর জুড়ে বিষাদের গন্ধ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে নপুংসকের । শ্রীমতী ভালবাসছেনা।বীর শুধু ভোগ করছে, ভালবাসছে না।কিন্তু নপুংসকের বুকের ভেতরে করুণা জন্মায়। প্রেম জন্মায়।
কিন্তু হঠাৎ করাঘাতে করাঘাতে দরজা ভেঙে পড়ে। আরও অনেক অনেক মানুষ। তারা আস্ফালন করে। তারাও পুরুষের অধিকার চায়। বীরেরসাথে যুদ্ধ শুরু হয়। ভেঙে যায় ঘরের যতো কাঁচ।
নপুংসক শ্রীমতীকে নিয়ে আসে ঘরের বাইরে। শ্রীমতী অবাক হয় তার করুণা দেখে। শ্রীমতী বলে, “জানো আজ ছায়াপথ আরও উজ্জ্বল হবে,চল ছাদে যাই”
“আমাদের পালিয়ে যাওয়া উচিৎ” নপুংসক বলে “তোমার বড় বিপদ”।“কোথায় পালাবো?চলো ছাদে চলো”। এক বুক বেদনা নিয়ে শ্রীমতীহাত বাড়ায় । নপুংসক হাত ধরে ।
ছায়াপথ তার নক্ষত্রপুঞ্জকে উদ্ভাসিত করে চেয়ে রয়েছে ওদের দুজনকে দেখবে বলে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Valo legechhe...
ReplyDeleteঅসাধারণ ! মানবিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ । হৃদয় আর কামনার দুই প্রান্ত । ভালো লিখেছো গো ।
ReplyDeleteTritiyo bar mukhomukhi holam ei lekha taa r....tomar one of the best lekhha...
ReplyDeleteবেশ ভাল একটা লেখা, ভাল লাগল।
ReplyDeleteভাবছি আগে কেন পড়া হয়নি, পড়লাম, সন্দীপ দা ঠিকই বলেছে one of your best lekha
ReplyDelete