Saturday, May 21, 2016
ফেরা-২
সুবোধ, তোমার পাশে দাঁড়ালাম
সেদিন ,
অজস্র
বইয়ের ভেতর ।
জানালা
ভেসে যাচ্ছিল বাংলাদেশের ।
আমার
রাস্তায় ফসফরাস,
আমার
রাস্তায় মরা চাঁদের সোঁতা !
বাড়ি
ফিরতে চেয়েছিলাম-
হামাগুড়ি
ফেলে শিরদাঁড়া সোজা করে।
বসুধা, বলতে পারবে, কতো নম্বর বাস-
সল্টলেকে
যায় ?
বই
ধরে হাঁটছি। আমার গান্ধিজী ধরে-
টান
মারছেন মা কালী,
আমার
কার্ল মার্ক্স মূর্ত্তির পূজারী।
ফেরা -৩
হাঁটছি।
গোল গোল।
বলিভিয়া আমার মাতৃভূমি, - ধরে নাও।
এদিকে মার্ক্সের
যাতায়াত নেই- ধরে নিলাম।
এখানে টুপি থেকে জল ঝরছে –
অসংখ্য ছিদ্রপথে !
ছিদ্রান্বেষীরা তীক্ষ্ণধার - উপমহাদেশ।
সুজন, আমার ডানহাত পুষ্পভার সইতে
পারছে না,
আমার বামহাতে মার্ক্সের টুপিটা
- অসংখ্য ছিদ্র ।
জল ঝরে।
একটু সকাল হলে
একটু
সকাল হলে একটু বেঁচে উঠি
বেঁচে
উঠি পারদের মতো
একটু
সকাল হলে সারা দেশে চকমকি জ্বলে
কতবার
বুঝিয়েছি কালো
ছায়ার
ভিতরে সব চুমু ও চরৈবেতি
ঝিম
কালো গা
একটু
সকাল হলে
বন্দুকের
নলে ফুটে থাকা বারুদের ফুলে
দেখি
কী
মানবিক মানুষের ছা!
একটু
সকাল হলে বড়, পেশি বেড়ে যায়।
আমিও
বলি আমাদের তখন,
ভালো
থাকতে হয়। সাম্রাজ্যবিস্তারে
মনোনিবেশ
করা ভালো।
একটু
সকাল হলে সে আসে
রহিম
আসে
রামও
আসে
একটু
সকাল হলে
কসাইকেও
কবি
মনে হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কসাইও কবি। পৃথিবী তো কসাইখানা। সকালগুলো শুধু অরিজিনাল নয়।
ReplyDeleteকসাইও কবি। পৃথিবী তো কসাইখানা। সকালগুলো শুধু অরিজিনাল নয়।
ReplyDelete