আমার যা ছিল,
সব নিয়েই তো চোর পালিয়ে গেছে, হায়,
শুধু, চাঁদটিকে সে ফেলে গেছে
জীর্ণ জানালায়।
সূচীভেদ্য অন্ধকার,
পথ হারিয়ে ফেলেছি।
চাঁদ ডুবে যাচ্ছে
দূর পাহাড়ের ওপারে।
ওদিকেই চেয়ে ছিলাম কিনা।
তোমার দিকে চেয়ে বসে আছি।
মুখে কোনো কথা নেই।
বিছানার ওপর ছড়িয়ে রয়েছে বইপত্তর।
বাঁশের চিকের ওপারে ফুলের কুঁড়ির ওপর
বৃষ্টি ঝরে পড়ছে ।
যেমন করে ভাবি আমি,
ঠিক তেমনটিই ভাবে,
এমন কেউ আছে এই পৃথিবীতে !
থাকলে, এই খোড়ো ঘরে বসে
সারা রাত্তির কতো গল্প হতো দুজনে !
কথা দিয়েছিলাম,
দুজনে দেখা করব আবার,
নতুন ধানগাছ রোওয়া হবে যখন ।
বিবর্ণ হলদে পাতার ভেতর দিয়ে
হেমন্ত বাতাস বহে যাচ্ছে, জানো !
স্বপ্ন দেখছি,
নাকি সত্যিই সব !
তোমার সঙ্গে বিছেদ হয়ে যাবার পর
দিশেহারা হয়ে গেছে আমার হৃদয়টি।
বিদায় ।
একটি পদ্মপাতার ওপর
লাফ দিয়ে পড়ব আমি।
সবাই আমাকে ‘মন্ডূক’ বলবে !
বেশ তো...
মৃত্যুলগ্নে কী ছিল
রিওকানের কবিতাটি !
মানুষ জানতে চাইলে, বোলো,
‘অমিতাভ বুদ্ধকে প্রণাম..’
মদির হয়ে যাই আমি,
তোমার দেখা পেলে।
কী রেখে গেলাম এই পৃথিবীতে,
সে দুঃখ আমার রইল না আর।
দাঁড়িয়ে থাকি,
আর বসেই থাকি এই কুড়েঘরে,
কিছুতেই ভুলতে পারছি না গো,
কতোদিন তোমাকে দেখিনি, বলো তো!
১১।
টুপিটা আকাশে,
পায়ের চটি মাটিতে।
কোথায় উড়ে চলে গেছে খড়ের রেনকোট।
স্মৃতিচিহ্নের মতো আমার শরীরটাই
রয়ে গেছে শুধু ।
আগে যদি জানতুম,
এ পৃথিবী এতো দুঃখের,
একটি ঘাস হয়ে জন্মাতাম
দুর্গম পাহাড়ের গায়,
কিম্বা একটি গাছ !
অসামান্য
ReplyDeleteঅসামান্য
ReplyDelete