Saturday, May 21, 2016
আমায় যে কোনো একটা বইয়ের রিভিউ করতে বলা
হয়েছিলো। তা কোন বইয়ের রিভিউ করবো এই ভেবে
যে বইটা সেই সময় পড়ছিলাম সেটারই রিভিউ করতে
বসে পড়লাম। আমি আগে কখনো কোনো বইয়ের আক্ষরিক রিভিউ করিনি। বইটা আগে থেকেই পড়ছিলাম।
রিভিউ করার জন্য নতুন করে পড়তে শুরু করা মাত্র মনে হলো রিভিউ কী? কাকে বলে? এই সব।
তারপর যতো এগোলাম প্রতিটা পাতা আমায় যা কিছু দিলো লিখে ফেললাম। জানিনা এটা কতোটা
রিভিউ হলো। তবে আমার মনে হওয়া হলো বটে।
‘হুডিনির তাঁবু’ থেকে প্রকাশিত বইটির কোনো নাম
নেই। বইয়ের মলাটে একটা গাছ, একটা চেয়ার, কিছু পাহাড়, লাল সূর্য আর দুটো নাম ‘দেবী।
চান্দ্রেয়ী।’
এরপর
আমার মনে হওয়া
ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা
হলদে
মলাট যেন সবজে গাছের মতো, কালো কালো ডালে কাক বসে, চিল থাকে, খোলসে খোলসে ভরে ওঠে
চেয়ার
একটা
শূন্য চেয়ার গাছের ছায়ায় বাড়ে, হাতল দুটো যেন এই ডানা হয়ে গেলো,পাহাড়ের মাঝে ভেসে
থাকে লাল টুক টুক ওই।
লাল
টুকটুকের ডাকনাম সূর্য দিয়েছিলো মেয়েটি, তার আলুথালু চুল,চুলের ফাঁক নেই কোনো।
সমস্ত জটারা দেওয়াল তুলে দিয়েছে চুলের ভেতর।
সবজে
পাতা যে ধূ ধূ মাঠে মলাট পড়িয়ে গেলো, এই মাত্র একটা একা চেয়ার এসে বাসা বেঁধেছে।
তাঁবুর ভেতর থেকে এই বুঝি উঁকি মারবে জোনাকি।
‘যা
কিছু একার, যা কিছু একের, ভেবে নিই সেই সব কিছুই দুজনকে নিয়ে দুজনের জন্য’
একটা অনুভব সূর্যের মতো লাল,
একটা অনুভুতি যেখানে বসত করে দুইটি ভিন্ন শরীর, শরীরের ভিন্নতায় তাদের রকমফের
ঘটলো, নানা খাঁজ, নানা উঁচু নীচু এক হয়ে গেলো একটি বিন্দু ঘেঁষে,আমি দেখতে পাই সেই
একার চেয়ার। শুন্যতা মেখে ফুলে গেছে ওর
সমস্ত বুক, স্তন হয়ে ঝরে পরছে সমস্ত মাঠে।
‘কাটাকুটি খেলায় কোনো হারজিত নেই’
যেই
মুহূর্তে তোমার বোঝা হয়ে গেলো ‘কাটাকুটি খেলায় কোনো হারজিত নেই’ আসলে আমরা যা কিছু খেলি তার সবটাই কাটাকুটি,
ফারাক কেবল লেন্স এর, তোমার আমার মাঝে যে সাঁকো থাকে তার নাম ভিউ, এই ভিউ গা ঘেঁষে
হেঁটে চলে বেড়ায় সমস্ত একার ভিড়ে, যেখানে
সুন্দর কে দেখলে তুমি ভাগ করে নাও নিজের সাথে,
বিয়োগে বিয়োগে যেভাবে যোগ ভরে ওঠে, এক রাশ ভারীতে পূর্ণ হয়ে যায় যুবতীর সমস্ত যৌবন, আর ওই যে ঝরণা যার
পুরোনো জলের ধারায় নিত্য নতুন তৃষ্ণারা
জন্মে জন্মে ওঠে, কখনো মরে যায় প্রাচীন ক্যাক্টাসে, কখনো সম্পুটে দাঁড়িয়ে থাকে।
প্রাচীন মানুষের পৈতে হয়ে ঝোলে।
নব নব জল গড়ে পড়বে বলে যখন সমস্তরা
অভিমান গোনে, তখনি তার পুরোনো হাতে কি প্রবল এক ভাসমান সমুদ্র গান হয়ে যায়। ঢেঁড়া
ঢেঁড়া সূরে হাহাকার জুড়ায় সবুজ খামের মাঠ,
সুন্দরী ঝরণা ততোদিনে শিশুতে পা রাখে, শিশুর মতো লম্ফ ঝম্পে পৌঁছে যায় মানুষের কোলে,
যেখানে dear M, dear W তারা অবাধ হয়ে থাকে,
যেখানে নব ধারা ফুটিয়ে তোলে চিরতনীর মুখ।
Silence Must
Be Heard
দুটো প্রাচীর, নানা ওটা ঘর
বন্দী দেওয়াল, তবে ওইযে ফাটল? কে বললো ওকে ফাটল? ও যে নিঃশব্দের মুখ, শূন্যতার
নিরাকার প্রাচীর
‘A
bodhisattva who treats even that (insight) as an object of perception, will there by part
from this perception of wisdom (prajna), and get far away from it…’
যার মাঝে একটা অ এর মতো ঠোঁট থ
হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর নীল ঘেঁষা কিছু পাখি
পার করছে ইধার উধার। কোনো তীব্র বেশধারী শূন্য গোলাপ যেভাবে পাতা শুকিয়ে রাখে নিজেদের ভেতর ঠিক তারই অমাবস্যা
ঘটলে আমরা একটা নতুন জেনে যাই।
স্বপনচারিনী থেকে,
স্বপ্ন আসলে একটা ঘুম, যখন
ঘুমের ভেতর সকাল হয়, সত্যি সত্যি বলে কাঁসর ঘন্টা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তাদের দল,
তারা যারা স্বপ্নের মতো সত্যি দেখে, সত্যির মতো একটা সমস্ত স্বপ্ন কে ঘর করে তোলে,
বিছানা পাতে, জীবন নামের বেড কাভারে মুড়ি দিয়ে শীত নেভায়, বাসে উঠে ধড়াস ধড়াস
চিৎকার করে, তার একা থাকে কই? তাদের একা আসলে মেলা হয়ে যায়, বয়সের ভার ঝুড়ির মতো
হাটে বিক্রী করে, অভিজ্ঞতার সালোয়ার জড়ায়। দেখো নিচে ট্রাফিক জ্যাম, এক দুই করে জাল হয়ে উঠছো।
ঘর, ঘরের ভেতর ঘর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান, এই
মাত্র চিঠি পেলাম, চিঠি ভেসে এলো হাওয়ার সাথে। আচ্ছা দরজা জানালা রোদ ঝড় সবাই কি
পূর্বে না হয় পশ্চিমে থাকে? জানালারও তো কখনো জানালা হয়, রোদের ভেতর রোদ ঢুকে যায়…
লাল নীলের মতো
চাল ডাল খেলা করে অনুষ্ঠানে… আর ওই চিঠির হদিশ… ওর ডাকবাক্স মিললে নিশ্চই ও
কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলো?
একটা কবরের ভেতর উলঙ্গ শরীর,
শরীর যখন লাজুক লতার পা, নাকি দুইটি কবর? ঠিক দুইটি মাত্র কবরে একটা মৃতদেহ, একটা কেদারা
যেখানে আরাম দোলে, যদি মৃতদেহরা দুইভাগ হয়ে যায়, ‘ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা ওঁ যৌথতা’ আর
কটা, না কয়েক হাজার, না কয়েক সংখ্যক মৃতদেহ এসে জোড়া দেয় তাদের সাথে, দুইখানি কবর
আষ্টেপিষ্টে তাদের আকাশ বাতাস পাহাড় লাল টিপের মতো আচরণ করে আর ওই চারাগাছ খানি
জবাব নেই জবাব নেই বলে দুটি বহুতল যোগ করে দেয় তবে,
‘আমি নিশ্চয় করে বলতে পারিনা যে আমি
নিশয় জানি যৌথতা একটি
কাল্পনিক ব্যাপার’
দুটো পা সবুজ রঙের আলতার
খোজে উঁকি ঝুঁকি মারছে
মাটিতে পড়ে আছে কালকের
বাসি
বিছানায় পড়ে আছে ঘুমন্ত
আসলে আমি কালবৈশাখী দেখি,
ভেবে দেখি অবলম্বন যেভাবে ঘাস
হয়ে যায় আমি সে ভাবে বই… বইয়ে
মাঠ খুঁজি, মাঠে
চেয়ার বসাই,ছেলে
মেয়ে,এক করি, তারপর মধ্যরাত্তিরে
গুটিসুটি
মেরে ভিজে যাই
ওই কাগজ ঘরে, লিখে
যাই আর
লিখে যাই
প্রথমেই বলেছি জানিনা এটা কতটা
রিভিউ। একটা বইয়ের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জরিয়ে পরলে, বইটাকে গায়ে মেখে নিলে যা হয়
আমারও তাই হলো। বাকিটার আর কিছু বাকি পড়ে থাকলো কিনা জানা নেই। বইটি সম্বন্ধীয়
তথ্য নীচে দেওয়া থাকলো।
A work of Chandreyee Dey & Debdutta
Ganguly
Page designed by Somtitha Nandi
Published by Houdinir Tnabu, February 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঃ বাঃ বেশ ভালো লাগলো। ব্যাপ্তি একটা ঠিকানাও দিতে পারে।
ReplyDeletedebi/ chandreye ei boi ti pore, e boi niye kotha bolechi satasfurtotaye, ei barta tukui apnar songe bhag kore nilam, baki ta kalponik thak...
ReplyDeleteAnanya ke boli, boi porechi, ebar review porlam. pather protikriya holona kothayu, pather proti kriya? tor pore thik eitukui ki mone hoyeche? hoye purota bolis ni, othoba bolte parisni, othoba prokash payeni, ar amar bhalo laglo je ei review ta te setao dhora pore jache. ottopor... bhalolaga.