Saturday, May 21, 2016
কমার লেখা ১
একটা পাহাড়ের পর একটা প্রতিবেশী জুটেছিলো আমি হিম সিম মেখে বাস করতাম ওই যে
টিলাখানি তার বাসার ভিতর, বাসার নাম যানক
লাই, বাসা খানেক ডিম পাড়ে, খানেক জুড়ায় ডানা, নাখুনের ভিতর চামুর চুমুর ফুল গজে,
দূরে যে শ্যাম গাছখানি ওর বীজ খাওনা বলেছিলো শামুক বাসার মা। ওর মা মোর প্রতিবেশী হয়। খানিক জুটে গেলাম তেঁতুল পাতায়। কাঁটায় কাঁটায় রক্ত মাখা গন্ধ ওগো প্রবল তোমার আরেক নাম কে শুধায়? তোমার
ঝিনুক বাঁধে কাহার পায়ের ছাপ? ছম ঝম সম সকল মেখে আমি স্নান করি, এই বুঝি বৃষ্টি নামবে, রাত করে পার হবে
কোনো সেগুন দরজা। খোলা উন্মুক্ত প্রান্তরে যেখানে
দরজার show room ছোট ছোট
ডালপালা আর wai wai মেখে যে রাত্রি কাটিয়েছিলাম আমরা,
হ্যাঁ সেখানেই, পাহাড়ের পর দেখি আজ/কতো
রঙিন রঙিন খাজ/কতো ঝর কবিতা হয়ে যায় তাতে/কতো ফুলদানি সাজিয়ে রাখে দেওয়াল ঘড়ির
মতো। চলো জল ভইর্যা আনি। ওই অমুক লাই তমুক লাই হাত ধরাধরি করি যাচ্ছে বুড়া
পাহাড়ের মাঝে, মাঝে মাঝে ফুলের মতো কইর্যা গান গাইছে তুয়ারা। হলুদ বর্ণী তারা
ওদের ওপর টিমটিম করে আলোপাত করছে। আমার শহরের মতো করে বেড়ে উঠছে ছোট্ট গুড়গুড়ি
যানক লাই, ওর আশে পাশের গাছ গাছালি শুরু হয়নি তখনো,কেবল একটা cell phone শব্দেই সমস্ত কানের focus ring ঘুরে যাচ্ছে, দূরে দূরে
বাজছে সজনী সজনী রাধিকালো।
কমার লেখা ২
পাশাপাশি দুই বাড়ি
বাড়ির ভেতর কেবল দুই নারী
বড়ো হলেন চঞ্চলা
ছোটর নাম সঞ্জলা
টাপুর টুপুর
বৃষ্টি
কি মহা সেই
সৃষ্টি
বৃষ্টির জুতোয়
পড়লো হিম
চঞ্চলা হলেন খিন
খিন
এবার জুতোর মতো হও সখী, সঞ্চলা পড়ে থাকে পৃথিবী নামক গ্রহে, গ্রহ নাকি
গৃহের নামে বিস্কুট ভেজায় চায়ে, সুরুত সুরুত চায়ের মতো গিলে নিতে পারে নাভিদের
ডিম, নাভির ডিম নাকি ঘোড়ার ডিম কে জানে
তার হদিশ।
লম্বা ঝ্যাঁটার মতো ঘর মোছার যে ন্যাতা, তাতে চোখ মোছে সঞ্চলা, দূরে বাড়ি
থাকে, বাড়ির আশে পাশে ফুলবাগান, ফুলের চাষে মঞ্জুরী বৃক্ষ হয়ে যায়, সূক্ষ নদীর তলে
থাকে চঞ্চলা, তখন সে বড়ো অঞ্চল।
ধিক ধি না ধিন ধিন
মাঠে ডিম পারেন হাট্টিমাটিম
গল্পের মতো পাহাড় বুনেছো যেমন, পেন্সিল রয়ে যায় বাক্সের ভেতর, নানা রকম
উঁকি ঝুঁকির পর সখী তুমি বমি হয়ে বসে থাকো স্নেহে আর এক গুচ্ছ রাক্ষসের দল হাঁউ
মাঁউ খাঁউ গন্ধে পেট দুমড়ে মুছড়ে পড়ছে, ওহ বড্ডো শরীর খারাপ করছে আমার।
মাগো তুমি আছো তবু নেই
যেমন
চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে ছিলো রঙ্গিন, তার গোটা গোটা পায়ে
নাখুন করোনা যেন, কেবল সূক্ষ্ম হয়ে আসা কলমের কালিতে চঞ্চলা ও সঞ্চলা দুই জড় বস্তু
মোবাইল ফোনের মতো, যেন একটা সেরিব্রাল ঘটলেই আই সি ইউ পার করে তুমি সোজা নর okay তে ঢুকবে।
মাসকাবারি কিমবা কবর ছায়ার প্রয়োজনে তোমার বাসা ঘটবেনা, কেউ পড়ে যাবেনা
তোমার লেখার থান ইঁটে, আঘাত হয়ে ওঠো মাগো
, সঞ্চলা এবার একটু চপল গাও, ওই যে দূরে সূর্য ক্ষেত দেখতে পাও সমুদ্র বরাবর তার
গাছ ঠিক হয়ে গেছে। এবার একটা মোটর গাড়ি করে পৃথিবী উড়বে, যারা বলতে চাইছো ‘এর ওর
মতো’ ‘ওরটা এদের মতো’ তারা টাটা বাই বাই হও দেখি, আমি জানি তোমার রক্তে একটা ঘোড়া
যদি ডিম পেড়ে যায় তবে সে আকাশবানী হবে,আর যুদ্ধ ক্ষেত্র তা তো বারাবর যুদ্ধই।
পাহাড় সমান গম্বুজে আটকে থাকবে বন্দুকধারী চঞ্চল, বেগুন পটল পেঁয়াজ সকলেই
নিশ্বাস বন্ধ করে হাত পা ঠান্ডা করবে,
যাকে বলে main stream theatre
আর কি!!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment