Saturday, May 21, 2016
বারো হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ১
গাছকে বিয়ে করার পর
তার সাথে বিয়ে দিল গ্রামের লোক
একটা কুলীনের
স্খালন করে পাপ বাড়াচ্ছে নিজেই
চন্দনের ফোঁটা যখন মাঘের শীতে আরও জাঁকিয়ে
বসছে কপালে, তখন হাসিমুখ মিনসে
গোছাচ্ছে বরপণ
হিসাবমতো সেই ঝুটো বেনারসী
পরশু দেখা যাবে
চণ্ডীমণ্ডপে
কালরাত্রির পর
শাড়ি খুব সুখে ঝুলে আছে এখন
জোড় ছাড়ানো
বারো হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ২
পাশা খেলা ছেড়ে ভাগ হচ্ছে দল
এখানে দ্রৌপদী জমানা
অউর চাবি খো গ্যায়া
দল থেকে দিয়ে যাচ্ছে মুড়ি
ক্লাবের বস্ত্র বিতরণ
একটা গোটা সংসার পাবলিক
রেসপন্সের ওপর টিকে আছে বলে...
মোটা কাপড়
পাড় কেটে বানানো আসনে
পৌরহিত্য হচ্ছে
নতুন শাড়ির জমিন
বারো
হাত বুনন, যাকে আমরা শাড়ি বলে জানি – ৩
শিকারীর পর চেনাজানা ফাঁদ
বাঘের খেলায় হাঁপাচ্ছে রিংমাস্টার
চৈতন্য আসার সময়
জলের কুঁজো, ভেঙে যাওয়া কানা
পিপাসা
সেখানে প্রেম প্রেম রোগগ্রস্ত আধার
আরও সমাহিত রূপ
ডুরে পরার পর
একটা আধমোছা টিপ
তাক করে আছে শিকারীকে
স্থির চোখ বাঘিনী, ঘটনাবহুল
যেন আদমখোর হবার আগে আগে
দেশলাই জ্বালানো হচ্ছে জঙ্গলময়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অনবদ্য…
ReplyDelete